কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বারা ঘোষিত একটি প্রকল্পের নাম হল- “প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্প”। এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল 2019 সালের 31শে মে। এই প্রকল্পের মূল বক্তব্য বিষয় ছিল-গরীব কৃষকদের সাহায্য করা। যদি কৃষকের 60 বছর পূর্ণ হয়ে থাকে তবে এই প্রকল্পের অধীনে তাকে প্রতি মাসে 3000 টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। যে সমস্ত কৃষক ভাইদের 2 হেক্টর এর কম জমি আছে তারাই এই প্রকল্পের উপযুক্ত।
Pradhan Mantri Kisan Mandhan Scheme 2022 Highlights
প্রকল্পের নাম | প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প |
রূপায়ণ | কেন্দ্র সরকার |
উদ্দেশ্য | পেনশন প্রদান |
উপভোক্তা | দরিদ্র কৃষক |
টাকার পরিমান | প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা |
আবেদন পদ্ধতি | অনলাইন / অফলাইন |
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্প” কী ?
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্প” হলো এমন একটি প্রকল্প যার দ্বারা গরিব চাষিদের কিছু পরিমাণ অর্থ সাহায্য করা। এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য চাষীদের কিছু শর্ত প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখানে বলা হয়েছে যে, এই প্রকল্পে যদি কোন ব্যক্তি আবেদন করেন তাহলে তাকে প্রতি মাসে মাসে কিছু পরিমাণ অর্থ ব্যাংকে জমা করতে হবে এবং 60 বছর পূর্ণ হলেই তখন থেকে পেনশন পাওয়া আরম্ভ হবে।
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্প” এর উদ্দেশ্য কী?
প্রত্যেকের বাড়িতে টাকা পয়সা নিয়ে কোনো না কোনো সমস্যা চলছে। এর বেশি পরিমাণে শিকার হচ্ছেন কৃষকরা। কারণ যারা ক্ষেতে ফসল ফলিয়ে নিজের জীবিকা নির্বাহ করেন তারা অনেকটাই কষ্টের সাথে দিন কাটান। কৃষকদের করুণ অবস্থা দেখে তাদের সুবিধার্থে তারা যাতে কোনো রকম অসুবিধায় না পড়েন সেই হিসেবে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই কিষান পেনশন প্রকল্প” টি চালু করেছিলেন। কারণ বৃদ্ধ বয়সে মানুষ অনেকটাই ক্ষমতা লুব্ধ হয়ে ওঠে। ফলে তারা কাজকর্ম করতে পারেনা। বৃদ্ধ বয়সের পিতা-মাতাদের সন্তানে উপর পরাধীন ভাবে নির্ভর হয়ে থাকতে হয়। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখে যাতে বৃদ্ধ বয়সে ঐ সমস্ত কৃষকদের কোনোরকম অসুবিধা না হয় সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পটি চালু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পের কি কি সুবিধা রয়েছে?
- প্রথমত এই প্রকল্পে আবেদনকারী কৃষকের যদি 60 বছর বয়স পূর্ণ হয়ে থাকে তবে প্রতিমাসে 3000 টাকা করে দেওয়া হবে।
- তারপরে এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারী কৃষককে একটি প্ল্যান অনুযায়ী কিছু পরিমাণ প্রীমিয়ামের টাকা জমা করতে হয়। কৃষক যদি প্রিমিয়াম প্ল্যান অনুযায়ী প্রতি মাসে মাসে টাকা জমা করেন তাহলে অবশ্যই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।
- এরপরে এই প্রকল্পে দরিদ্র কৃষকরা সুবিধা নিতে পারবেন।
- এই প্রকল্পে আবেদনকারী কৃষক পেনশন পেতে পেতে মৃত্যুবরণ করেন তাহলে পরবর্তীতে তার স্ত্রী প্রতি মাসে 1500 টাকা করে পাবেন।
বয়সের ভিত্তিতে প্রিমিয়ামের পরিমান
বয়স | টাকার পরিমান |
18 | 55 |
19 | 58 |
20 | 61 |
21 | 64 |
22 | 68 |
23 | 72 |
24 | 76 |
25 | 80 |
26 | 85 |
27 | 90 |
28 | 95 |
29 | 100 |
30 | 105 |
31 | 110 |
32 | 120 |
33 | 130 |
34 | 140 |
35 | 150 |
36 | 160 |
37 | 170 |
38 | 180 |
39 | 190 |
40 | 200 |
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে আবেদনের যোগ্যতা কি রয়েছ?
- এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য কৃষককে একজন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
- যে সমস্ত কৃষকদের 2 হেক্টর এর কম পরিমাণে জমি রয়েছে তারা এই প্রকল্পের জন্য সর্বোত্তম।
- যে সমস্ত কৃষকের বয়স 18 থেকে 40 বছরের মধ্যে তারাই এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য।
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?
- সর্বপ্রথম এই প্রকল্পের আবেদন করতে হলে আবেদনকারী কৃষকের আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
- তারপরে আবেদনকারী কৃষকের কত বয়স তার একটা প্রমাণপত্র লাগবে।
- এরপর আবেদনকারী কৃষকের পরিচয় পত্রের প্রমান লাগবে।
- আবেদনকারী কৃষক কত টাকা আয় করেন তার একটা প্রমান পত্র লাগবে।
- আবেদনকারী কৃষকের মোবাইল নাম্বার লাগবে।
- আবেদনকারী কৃষকের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি লাগবে।
- সর্বশেষ আবেদনকারী কৃষকের ব্যাংক একাউন্ট লাগবে যার মাধ্যমে আবেদন কারী প্রার্থীর টাকা সরাসরি ব্যাংকে ঢুকবে।
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করবো?
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে দুইভাবে আবেদন করা যায়।
১) অফলাইন মাধ্যম।
২) অনলাইন মাধ্যম।
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে কিভাবে অফলাইন আবেদন করবো?
- প্রথমে প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে আবেদনকারীর কৃষককে সমস্ত প্রকার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে বাড়ির কাছাকাছি জনসভা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে।
- তারপরে আবেদনকারী কৃষকের সমস্ত প্রকার নথিপত্র দিতে হবে সেই জনসভা কেন্দ্রে।
- এরপরে সেখানে বসা কর্মচারী অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনকারী কৃষকের সমস্ত প্রকার তথ্য আপলোড করবেন।
- আবেদনকারী কৃষককে অতি অবশ্যই তার নিজ স্বাক্ষর এবং নিজ ফটোকপি আপলোড করতে হবে।
- আবেদন পত্র সম্পূর্ণভাবে ফিলাপ হয়ে থাকলে আবেদনকারী কৃষকের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে কিভাবে অনলাইন আবেদন করবো?
- প্রথমে আবেদনকারী কৃষক যদি অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে “প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পের” অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
- তারপরে অফিশিয়াল ওয়েব সাইটের হোম পেজে যেতে হবে।
- এরপরে Self Enrollment অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এবং ফোন নাম্বার দিয়ে ওকে অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- তারপরে ক্যাপচা কোড দিয়ে ওটিপি সংখ্যা দিতে হবে।
- এরপরে প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্পে ক্লিক করে সেখানে আপনার যাবতীয় তথ্য আপলোড করতে হবে।
- তবেই আবেদনকারী কৃষকের আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
FAQ
১) “প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পের” হেল্পলাইন নাম্বার কত?
উঃ 1800-3000-3468
২) প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে আবেদনের জন্য বয়সসীমা কত লাগবে?
উঃ এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারী কৃষকের বয়স হতে হবে 18 থেকে 40 বছরের মধ্যে।
৩) প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে কত টাকা পেনশন দেওয়া হয়?
উঃ প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে আবেদনকারী কৃষককে প্রতি মাসে 3000 টাকা করে পেনশন দেওয়া হয়।
৪) প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্পে আবেদন করলে কবে থেকে পেনশন পাবে?
উঃ যদি আবেদনকারী কৃষকের 60 বৎসর বয়স পূর্ণ হয় তখন থেকেই আবেদনকারী কৃষকের পেনশন পাওয়া আরম্ভ হয়ে যাবে।
৫) প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্প ছাড়া অন্যান্য আরো কোন পেনশনে আবেদন করা যাবে কি?
উঃ হ্যাঁ, অবশ্যই আবেদন করা যাবে। কিন্তু আবেদনের পাশাপাশি মাসিক প্রিমিয়ামের কিছু টাকাও আপনাকে দিতে হবে।
তো এই ছিল আমাদের আজকের “প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন প্রকল্প” বা “কিষান পেনশন প্রকল্প” নিয়ে আজকের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন তো আশা করি আপনারা সবাই বিস্তারিতভাবে প্রতিবেদনটি পড়েছেন সেই জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।