How to focus in study

অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছেন যারা খুব মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে চান, কিন্তু পড়তে বসে বই খোলা মাত্রই মন ইতস্তত ভাবে এদিক ওদিক যেতে থাকে। যেকোনো পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করতে চাইলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করাটা খুবই জরুরী। বর্তমান সময়ে পড়াশোনা থেকে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হওয়ার একটা সহজ কারণ রয়েছে সেটা হলো মনের বিক্ষিপ্ততা। মূলত যে বিষয়গুলি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা থেকে বিক্ষিপ্ত করে তার মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া,অনলাইন গেমস, পরিবারের গোলমাল ইত্যাদি। আজকের পোস্টে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব কিভাবে একজন শিক্ষার্থী খুব মনোযোগ সহকারে অধ্যাবসায়ের সহিত পড়াশোনা করতে পারে। 

10 টি টিপস যেগুলো পড়াশোনায় মনোযোগী হতে সহায়তা করবে

পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত জায়গা:

আপনার পড়াশোনা আপনার চারপাশের পরিবেশের উপর নির্ভর করে । তাই পড়ার জন্য একটি স্টাডি রুম নির্বাচন করুন যেখানে আপনাকে কেউ যেন আপনাকে বিরক্ত না করে সেসঙ্গে আশেপাশের পরিবেশ যেন শান্ত থাকে।

পরিকল্পনা তৈরি করুন:

পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময়সূচী তৈরি করতে হবে। আপনাকে ঠিক করতে হবে সপ্তাহে কোন বিষয় কোন দিন এবং কত সময় পড়বেন। একটা সঠিক টাইম টেবিল আপনার পড়াশোনা কে আরো সহজ এবং মনোযোগী হতে অনেক সহায়তা প্রদান করে। ফলস্বরূপ আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হয়ে উপযুক্ত প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

বিভ্রান্তিকর গেজেট দূরে রাখুন:

আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে বিভ্রান্তিমূলক ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে বিশেষত মোবাইল ফোন থেকে নানা ধরনের বিক্ষিপ্ততা আসে। পড়তে বসার সময় যদি সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে মন চলে যায় তাহলে আপনার মূল্যবান সময়ের অপচয় ঘটবে। তাই ভালো হয় পড়াশোনার সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকা।

ভালোভাবে বুঝে পড়ুন:

সর্বদা খেয়াল রাখবেন পড়ার সময় যেন বুঝে বুঝে পড়তে পারেন। প্রথমে আপনাকে আপনার সিলেবাস সম্বন্ধে অবগত হতে হবে সেই সঙ্গে অধ্যায় সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হবে। আপনি যখনই পড়তে বসবেন সঙ্গে সঙ্গে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং যখন লক্ষ পূরণ হবে তখন নিজের পরিশ্রমের জন্য নিজেকে অভিনন্দন জানান। সবসময়ের জন্য ইতিবাচক চিন্তা করুন এবং খালি সময়ে অনুপ্রেরণামূলক বই পড়ার চেষ্টা করুন।

কিছু সময়ের বিরতি নেন:

একনাগাড়ে পড়তে থাকলে মস্তিষ্কের উপর চাপ তৈরি হতে পারে। তাই ভালো হয়, পড়তে বসার প্রতি ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে পাঁচ থেকে দশ মিনিটের বিরতি নেওয়া। এর ফলে মস্তিষ্কের উপর চাপও পড়ে না এবং মন সতেজ থাকে। বিরতির সময় ইতিবাচক বিষয় চিন্তা করুন যাতে আগের পড়াশোনায় যা কিছু শিখেছেন তা যেন না ভুলে যান।

গুরুত্বপূর্ণ বই টেবিলের উপরে রাখুন:

পড়াশোনা শুরু করার আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় বই নোটবুক কলম পেন্সিল সবকিছুই টেবিলের উপরে গুছিয়ে নেন। যেন পড়াশোনার মাঝে বারবার পড়ার আসন থেকে উঠে যেতে না হয়। এর ফলে আপনি মনোযোগ সহকারে নিয়মিত পাঠ করতে পারবেন।

আপনার শরীরকে বুঝুন:

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সময় বিভিন্ন রকম হতে পারে। কিছু ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা সকালে পড়াশোনা করতে ভালোবাসে আবার কিছু জন রয়েছে যারা রাত জেগে পড়াশোনা করতে ভালোবাসে। তাই আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনার শরীর কখন আপনার মনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারবে। কথায় আছে সঠিক সময় সঠিক কাজ করাকে সফলতা হিসেবে ধরা হয়।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান:

মনোযোগ সহকারে পড়াশোনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর খাবার অগ্রগণ্যভূমিকা পালন করে। ভালো ফল মূল, শাকসবজি খাওয়া দাওয়া করলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে উচ্চ চর্বিযুক্ত, মিষ্টি ও কার্বোহাইড্র যুক্ত খাবার আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

অধ্যয়ন সহযোগী:

যদি কোন বিষয়ে পড়তে গিয়ে আপনি বোর অনুভব করেন তাহলে একজন উপযুক্ত সহপাঠীর সাহায্য নেন যে আপনাকে ওই বিষয়ে পড়াশোনার জন্য আপনাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

গ্রুপ স্টাডি এড়িয়ে চলুন:

যদি আপনি আপনার কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে একসঙ্গে পড়াশোনা অর্থাৎ গ্রুপ স্টাডি করেন তাহলে নিশ্চিত থাকুন যে পড়াশোনার থেকে গল্পগুজবটা বেশি হবে। তাই যথাসম্ভব গ্রুপ স্টাডি এড়িয়ে চলুন।

এই হলো পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দশটি টিপস। যদি আপনি এই টিপসগুলি সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তাহলে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি সহকারে বলা যায় যে আপনার পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। আশা করি এই নিবন্ধটি পরে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছেন, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *